চারুকলায় আগুনে পুড়ল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা।

আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে চারুকলা অনুষদে সরেজমিনে গিয়ে এমনটি দেখা যায়। যেখানে মোটিফ তৈরির কাজ চলছিল, সেখানে আগুন লেগে এগুলো পুড়ে গেছে।

আগুনে দানবীয় ফ্যাসিবাদী মুখাকৃতির মোটিফটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, আর আংশিক পুড়ে গেছে শান্তির পায়রা মোটিফটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, আজ ভোর পৌনে ৫টা থেকে ৫টার মধ্যে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তখন দায়িত্বরত মোবাইল টিমের সদস্যরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য গিয়েছিলেন। তখনই হয়তো আগুন দেওয়ার কাজটি করা হয়েছে।

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, ভোরে আগুন লেগে দুটি মোটিফ পুড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের প্রধান মোটিফ ছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। বাঁশ-বেতের কারুকাজে তৈরি এই প্রতিকৃতির উচ্চতা ছিল প্রায় ২০ ফুট। অনেকে ধারণা করছিলেন, এটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি।

চারুকলা ১৯৮৯ সাল থেকে পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।

তবে এবার বাংলা নববর্ষ উদযাপনের এই শোভাযাত্রা ফেরত যাচ্ছে পুরনো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে।
এই নাম পরিবর্তন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।’