খাগড়াছড়ির দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে ছয় মাসের ব্যবধানে আবারও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের যৌথ প্রচেষ্টায় ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
আগুনে ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, যার ফলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হলেও তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিমল শীল বলেন, ‘গত ৬ মাস আগেও সেলুনটি পুড়ে গিয়েছিল। গতকাল রাতে আবার আগুন লাগলো। আমার ২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।’
কাপড় দোকানদার মো. শহিদুল আলম বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে দোকানে ১০-১৫ লাখ টাকার গার্মেন্টসের কাপড় তুলেছিলাম। গত ৬ মাস আগেও একবার পুড়ে ছাই হয়েছে দোকানটি। ঋণের টাকায় আবার চালু করি। এবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি।’
বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক-ব্যবসায়ীদের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে তালিকা করা হচ্ছে।’
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার পঙ্কজ কুমার জানায়, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের দীঘিনালা ইউনিট। সেই সঙ্গে দীঘিনালা জোন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয়দের সার্বিক প্রচেষ্টায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তার আগে ১২টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল ওমর ফারুক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এর আগে, ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে এই লারমা স্কয়ারে। এতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় এই বাজারের শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।