বাঁশখালী পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ড বড়ুয়া পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর জলদী বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদুল আলম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর জলদী বড়ুয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র বড়ুয়ার পরিবারের সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে বসতঘরে হঠাৎ আগুন দেখতে পান পাশের বাড়ির মল্লিকা বড়ুয়া।মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৪টি বসতঘর। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে আসতে একটু দেরি হয়ে যায়, কারণ সড়কটি যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িটি আসতে একটু বিলম্ব হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও ৪টি ঘর একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ঘরের জিনিসপত্র বের করতে পারেনি বাসিন্দারা। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন: প্রিয়তম বড়ুয়া, রবীন্দ্র বড়ুয়া, বাবলু বড়ুয়া, ঋতু বড়ুয়া, সুনীল বড়ুয়া।
এ বিষয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বসতঘর পুড়ে গেছে। রাত ১২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত এবং প্রায় ৪ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদুল আলম বলেন, গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল, ঢেউটিন এবং নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
