বোয়ালখালীতে অপহৃত শিশু উদ্ধার, দুই আসামি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে শিশু অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজিচালিত ট্যাক্সিসহ জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মুক্তিপণের ৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বোয়ালখালী থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার।

এতে জানানো হয়, গত ২৫ মার্চ দুপুরে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নজর মোহাম্মদ বাড়ির নুরুল আজিমের ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মো. আফরান নুর আবির (৮) নিখোঁজ হয়। তাকে কোথাও না পেয়ে আবিরের পিতা বোয়ালখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওইদিন রাত ৩টার দিকে আবিরের পিতার ‘ইমু’ নম্বরে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বার্তা দেয় অপহরণকারীরা। তারা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিতের জন্য আবিরের একটি ছবিও পাঠায়।

অপহরণকারীদের দাবি অনুযায়ী টাকা প্রদানে রাজি হলে তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একটি নগদ নম্বর দেয়। বিষয়টি পুলিশ জানতে পেরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের শনাক্ত করে।

এরমধ্যেই ২৬ মার্চ দুপুরে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে নগরীর চান্দগাঁও বাহির সিগন্যাল এলাকার একটি মাদ্রাসার সামনে থেকে আবিরকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর শিশুটির পিতা বোয়ালখালী থানায় মামলা দায়ের করলে রাতে অভিযান চালিয়ে বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিণ সাধনপুর সওদাগর পাড়ার লাইলা বাপের বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে সিএনজি চালক নুরুল আলমকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

অপরদিকে, যশোর জেলার বেনাপোল থানার দুর্গাপুর গ্রামের মো. আয়াতুল্লাহর ছেলে মো. ইকবালকে (২৭) মুক্তিপণের টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধারে প্রতিটি পদক্ষেপ খুবই সতর্কতার সঙ্গে নিতে হয়েছিল।

নানা ধরনের ফাঁদ তৈরি করতে হয়েছিল। এতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় জেলা ডিবি পুলিশ, বাঁশখালী থানা পুলিশ, যশোর জেলার শার্শা থানা পুলিশসহ একাধিক টিম বোয়ালখালী থানা পুলিশকে সহায়তা করেছে।

ওসি জানান, অপহরণের ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।