মিরসরাই উপজেলার জনপ্রিয় রাজনীতিক ও তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার আসরের নামাজের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল নামে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক মহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন। উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, জামায়াতের স্থানীয় নেতারা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জানাজায় অংশ নেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
কামাল উদ্দিন আহমেদ মিরসরাইয়ে একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি দীর্ঘ তিন মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার সময়ে মিরসরাইয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিল বলে এলাকাবাসী মনে করেন। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রাস্তা নির্মাণ ও গরিব-দুস্থদের সহায়তায় তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। তার মৃত্যুতে এলাকার রাজনৈতিক অঙ্গনে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
তার মৃত্যুতে বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে। বিএনপির নেতৃবৃন্দরা এক শোকবার্তায় বলেন, “কামাল উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্নের একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। তার নেতৃত্বে মিরসরাইয়ের মানুষ অনেক উন্নয়ন কার্যক্রমের সুফল পেয়েছে। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”
এদিকে, কামাল উদ্দিন আহমেদের পরিবারের সদস্যরা তার বিদেহী আত্মার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। তার ছেলে জানিয়েছেন, “বাবা সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চেয়েছেন। আমাকেও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করার ওসিয়ত করে গেছেন। দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।”
তার মৃত্যুতে মিরসরাইজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বরা সবাই তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছেন।