সীমান্তের অতিরিক্ত সৈন্য প্রত্যাহার করছে ভারত-পাকিস্তান

সীমান্তের অতিরিক্ত সৈন্য প্রত্যাহার করছে ভারত-পাকিস্তান

সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় সীমান্তে মোতায়েন করা অতিরিক্ত সেনা সদস্যদের চলতি মাসের শেষের দিক নাগাদ শান্তিকালীন অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত এবং পাকিস্তান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

গত মাসে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে চার দিন ধরে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর এই সংঘাতে অন্তত ৭০ জন নিহত হন। কাশ্মিরে হামলার ঘটনায় নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করলেও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মধ্য দিয়ে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান হামলা ও কামানের পাল্টাপাল্টি গোলা বিনিময় বন্ধ হয়ে যায়। ট্রাম্পের ঘোষণা দেওয়া সেই যুদ্ধবিরতি এখনও কার্যকর রয়েছে।

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানি ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, উভয় দেশের সৈন্যরা চলতি মে মাসের শেষের দিকে সংঘর্ষ-পূর্ব অবস্থানে ফিরে যাবেন।

তিনি বলেন, উভয় দেশ ধাপে ধাপে—বিশেষ করে কাশ্মিরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লাগোয়া এলাকা থেকে অতিরিক্ত সেনা ও অস্ত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। মে মাসের শেষ নাগাদ সৈন্যদের প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে।

গত সপ্তাহে ভারতীয় সেনাবাহিনীও বলেছিল, উভয় পক্ষ সীমান্ত ও সম্মুখসারির এলাকাগুলো থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সৈন্য সংখ্যা কমানোর বিষয়ে একমত হয়েছে।

পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে সব পদক্ষেপ ১০ দিনের মধ্যেই শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কিছু ছোটখাটো কিছু সমস্যা থাকায় সৈন্য প্রত্যাহারে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারত ও মুসলিম-প্রধান পাকিস্তান ব্যাপক বিবাদপূর্ণ কাশ্মিরের একাংশের নিয়ন্ত্রণ করলেও পুরো অঞ্চলই নিজেদের বলে দাবি করে। অতীতে কাশ্মির নিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী এই দুই দেশের মাঝে অন্তত দু’বার যুদ্ধও হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সৃষ্ট উত্তেজনার জেরে ছোটখাটো বহুবার সংঘর্ষেও জড়িয়েছে দেশ দুটি।