শিশু কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পিতা আটক, কারাগারে প্রেরণ

শিশু কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পিতা আটক

হাটহাজারীতে পিতা কর্তৃক দশ বছর বয়সী কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক পিতা জয়নাল আবেদীন (৪০) কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ট্রাক হেলপার জয়নাল আবেদীনকে বিবাদী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে গত বুধবার রাতে উপজেলার বড়দিঘিরপাড় এলাকার একটি কলোনিতে এ নৃক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে।

সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ট্রাক হেলপার জয়নাল আবেদীন বিভিন্ন সময় তার ১০ বছর বয়সী শিশু সন্তানটির সাথে যৌন আচরণ করতেন। ভিকটিম অবুঝ শিশুটি বারবচর তার মাকে বিষয়টি জানালেও লোকনিন্দার ভয়ে বিষয়টি ঘরেই সীমাবদ্ধ রেখে স্বামীর সাথে বিবাদে জড়াতেন। ঘটনারদিন মায়ের অনুপস্থিতিতে পুনরায় একই ঘটনা ঘটলে ভিকটিমের মা প্রথমে ৯৯৯-এ জানালেও পরবর্তীতে পুলিশ লোকেশন জানতে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে ভিকটিমের মা নিজে মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে নিজ স্বামী জয়নাল আবেদীন এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আরেকটি সুত্রে জানা যায়, একই ঘটনায় গত তিন বছর পূর্বেও নিজ এলাকা মানিকছড়িতেও গ্রাম্য সালিশ বসে জয়নালের বিরুদ্ধে।

হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার মো.নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার তাকে চট্টগ্রামের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে শুক্রবার বাদে জুমা হাটহাজারী পৌরসদর বাস স্টেশন চত্বরে চট্টগ্রামের সকল স্বেচ্ছাসেবী মানবিক ও রক্তদাতা সংগঠনের আযোজনে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি ছোট্ট শিশুর ধর্ষণের ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য চরম লজ্জাজনক! বাংলাদেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণকারীরা বার বার পার পেয়ে যাচ্ছে। যার কারনে সারাদেশে ধর্ষণের মতো ভয়াবহ ঘটনা সিরিজ আকারে ঘটছে। তারা ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সকল মামলা অতি দ্রুত নিষ্পত্তিসহ ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান। এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’, ‘ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে’,’ধর্ষিতার জানাযার আগে ধর্ষককে মাটিতে পুতে ফেলার ব্যবস্থা করুন’, ‘অন্তত একজন ধর্ষককে কোরআনের আইনে প্রকাশ্যে শাস্তি দিন, তাহলে আছিয়ার মতো হাজারো মেয়ের জীবন অকালে ঝরবে না সহ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।