রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শান্তিনিকেতন সার্বজনীন শ্রীকৃষ্ণ উদয়ন মন্দিরের ৫০তম বর্ষপূর্তি ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়, যা ১ এপ্রিল অষ্টপ্রহরব্যাপী নামসংকীর্তনের পূর্ণাহুতির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
৩০ মার্চ উদ্বোধনী দিনে সন্ধ্যায় সমাজসেবক পরিমল কান্তি দে-এর সভাপতিত্বে মহাআশীর্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ চিন্তাহারী সাধনপীঠ যোগাশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী মহানন্দ পুরী মহারাজ। সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন সমাজসেবক দীপেন সাহা। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীলিপ দে, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোৎস্না রানী দে, মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসিত বরণ চৌধুরী এবং অর্থ সম্পাদক শিবু প্রসাদ দে।
মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর রাখাল চন্দ্র দাশ স্মৃতি বৃত্তিপ্রাপ্ত মনিষী দে, দীপ্ত কর, জয়ন্তী দে, প্রিয়ন্তী দে, রুহিত দে এবং আকাশ নাথের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। এর আগে শিল্পী রাতুল কুমার বৈদ্যের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে বিভিন্ন শিল্পীরা ধর্মীয় গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অভিজিৎ কুমার দে ও রাহুল দত্ত।
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর নিতাই দাশ ও চন্দন চর্চিত কানাই দাশের পৌরহিত্যে এবং সৌরভ সাহার পরিচালনায় অধিবাস কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। নাম সংকীর্তনে অংশ নেয় ব্রজের গোপাল সম্প্রদায় (গোপালগঞ্জ), কৃষ্ণ উদয়ন মন্দির সম্প্রদায় (রাঙ্গুনিয়া), মদন মোহন সম্প্রদায় (চট্টগ্রাম) এবং রাম সংঘ সম্প্রদায় (চট্টগ্রাম)। এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছিল ভগবানের ভোগরাগ, বিভিন্ন পণ্যের মেলা এবং আনন্দ বাজারে অন্নপ্রসাদ আস্বাদন।
এই বর্ষপূর্তি উদযাপনে স্থানীয় ভক্তবৃন্দ ও ধর্মপ্রাণ মানুষের অংশগ্রহণ মন্দিরের প্রতি তাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন।
