যতক্ষণ চরিত্র আছে, ততক্ষণই আমরা বেঁচে আছি, যখন চরিত্র-ধন যাবে, তখন আমাদের সব যাবে। চরিত্রবান মানুষ দেশের গৌরব, দেশের সম্পদ, দেশের সর্বাপেক্ষা শ্লাঘনীয় বস্তু। আমাদের আত্মপরীক্ষণের বড়ই অভাব বর্তমানে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারই জন্য অশান্তির বীজ বপন হচ্ছে এবং গোটা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে চরিত্রহীনতার বিষবাষ্প জমা হচ্ছে।
তার জন্য স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব প্রবর্তিত মহান চরিত্র গঠন আন্দোলনকে বেগবান করে তুলতে হবে। কোন মানুষ যদি নিজের জীবিকার্জ্জনের পথ থেকে পাপকে দূর করে দিতে পারেন, তবে তাঁর পরিবারে কোনও সাধনা ছাড়াই মহাপুরুষের জন্মগ্রহণ সম্ভব।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাউজান থানাধীন বিনাজুরী অখ-ম-লীর উপাসনা মন্দির প্রাঙ্গণে অখ-ম-লেশ্বর স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের শুভ আবির্ভাব উৎসবে চরিত্র গঠন ভিত্তিক ধর্মীয় সভায় বক্তাগণ উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
ম-লীর সহ-সভাপতি পংকজ আচার্য্য’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন- কুমিল্লা মুরাদনগরস্থ রহিমপুর অযাচক আশ্রমের অধ্যক্ষ ডা. শ্রীমৎ যুগল ব্রহ্মচারী মহারাজ।
সভায় বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাঁশখালী জঙ্গল নাপোড়াস্থ শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীশ্রীমৎ শ্রদ্ধানন্দ ব্রহ্মচারী, অধ্যাপক ডা. হিমাংশু বিমল নাথ, মনতোষ মজুমদার, রতন কুমার বণিক, পলাশ তালুকদার প্রমুখ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ম-লীর সাধারণ সম্পাদক বাবলু চৌধুরী। সজল কুমার দে’র সঞ্চালনায় এতে অখ- সংগীত পরিবেশন করেন জোটন শীল ও মনীষা দেব এবং অখ–সংহিতা পাঠ করেন বিউটি দাশ।
উৎসবে স্বরূপানন্দ সংগীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জীবেন্দ্রনাথ সরকার, উত্তম ঘোষ, জোটন শীল, অহনা বিশ্বাস, অনন্যা বিশ্বাস, মনীষা দেব প্রমুখ।
দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত অন্যান্য অনুষ্ঠানসমূহের মধ্যে বৃহস্পতিবার যৌগিক আসন মুদ্রা প্রদর্শন, শঙ্খবাদন প্রতিযোগিতা, অখ–সংহিতা পাঠ প্রতিযোগিতা, স্বরূপানন্দ বাণী লিখন ও প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা, শিশু-কিশোরদের স্বরূপানন্দ সাহিত্য থেকে আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, শুভ আবির্ভাব উৎসবের অধিবাস উপাসনা, হরিওঁ কীর্ত্তন সহকারে পল্লী পরিক্রমা ও পবিত্র অখ- বিধিমতে বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।
ক্যাপশান
বিনাজুরী অখ- ম-লীর উদ্যোগে স্বামী স্বরূপানন্দ পরমংহসদেবের শুভ আবির্ভাব উৎসবের অতিথিবৃন্দ