প্রত্যন্ত অঞ্চলে আলোর দ্যূতি ছড়াচ্ছে দারুন নাজাত মহিলা মাদরাসা

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার আবুতোরাব বাজারসংলগ্ন সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে আধুনিক ও নান্দনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—দারুন নাজাত মহিলা মাদরাসা। ধর্মীয় শিক্ষা ও আধুনিক পাঠ্যক্রমের সমন্বয়ে পরিচালিত এই মাদরাসাটি এখন মিরসরাইয়ের শিক্ষাক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও পরিকল্পনার নিপুণ ছাপ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি কোণে। শিক্ষার্থীদের জীবনযাপনেও সেই শৃঙ্খলা ও শিক্ষার স্পষ্ট ছাপ লক্ষ্য করা যায়।

প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতির পেছনে রয়েছেন মিরসরাইয়ের কৃতিসন্তান জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া। নিভৃতে ও একাগ্র প্রচেষ্টায় তিনি এই মাদরাসাটিকে একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। শুধু অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, তাঁর সুদূরপ্রসারী চিন্তা, মানবিক মূল্যবোধ ও উন্নয়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গিই প্রতিষ্ঠানটির পথচলাকে সুগম করেছে। একদল দক্ষ ও সেবাপরায়ণ শিক্ষকের মাধ্যমে মাদরাসাটিতে পাঠদান পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি, এক অভিজ্ঞ প্রশাসকের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম-শৃঙ্খলা ও শিক্ষার মান রক্ষা করে চলেছে।

মাদরাসাটির পাঠ্যক্রমে রয়েছে কোরআন-হাদীসভিত্তিক শিক্ষা, পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞানসহ জাতীয় শিক্ষাক্রমভুক্ত বিষয়গুলোও গুরুত্বের সঙ্গে পড়ানো হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায়ও পারদর্শী হয়ে উঠছে। এই সমন্বিত পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে।

স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা এই মাদরাসার সাফল্যে দারুণ সন্তুষ্ট। তারা মনে করেন, এখানকার শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনে সমাজ, দেশ ও উম্মাহর নেতৃত্বে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা, মানবিকতা ও আত্মশুদ্ধির যে পরিবেশ এখানে গড়ে তোলা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। অনেকেই এই মাদরাসাকে মিরসরাইয়ের শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন সূর্যোদয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছেন।

ভবিষ্যতে মাদরাসাটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, পাঠ্যক্রম আধুনিকায়ন এবং প্রযুক্তির সংযোগ ঘটানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, দারুন নাজাত মহিলা মাদরাসা একদিন দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম অর্জন করবে।

এই মাদরাসার উত্তরোত্তর সাফল্য ও অগ্রগতি কামনা করে এলাকাবাসী জানান, এই আলোকবর্তিকা আরও বহু বছর শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।