চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হজ্ব প্রশিক্ষণ ও প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) রাতে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে ‘আল হাবিব হজ্ব কাফেলা’ এর ব্যবস্থাপনায় এই প্রশিক্ষণ ও প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে চলতি বছরের হজ পালনে ইচ্ছুকরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে হাজীদের উদ্দেশ্যে হজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনা ও কার্যকর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ আহমদ। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি খলিল আহমদ কাসেমী কুরাইশী।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন আল্লামা মুফতী জসিম উদ্দিন, ফতেপুর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আহমদ দীদার কাসেমী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ আহমদ বলেন, বিশুদ্ধ নিয়তের সঙ্গে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুমিনদের মক্কা, মিনা, মুযদালিফা, আরাফা ময়দান প্রভৃতি নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কতিপয় নির্দিষ্ট আমলের সমষ্টিকে হজ বলা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, সামর্থবান প্রত্যেক মুমিনের উপর হজ্ব করা ফরজ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতী খলিল আহমদ কাসেমী কুরাইশী বলেন, প্রত্যেক আমল গ্ৰহণযোগ্য হবার শর্ত হচ্ছে ওই আমলের নিয়ত বিশুদ্ধ হওয়া। বিশুদ্ধভাবে আল্লাহর জন্য করার নিয়ত ব্যতিরেকে কোন আমলই কবুল হবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমলের প্রতিদান নিয়তের উপর নির্ভর করে। হজ একটি অন্তর পরিশুদ্ধকারী শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ইবাদত। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর মতে, এটি তাৎক্ষণিকভাবে পালনীয় ফরজ ইবাদত। সুতরাং প্রত্যেক মুমিনের উচিত সামর্থ্যবান হওয়া মাত্র এটি আদায় করা। নাহলে হজ অনাদায়ী অবস্থায় নবীজির অভিশাপ নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে।
উক্ত হজ্ব প্রশিক্ষণ ও প্রীতি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন চারিয়া মাদরাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা শেখ আহমদ, মেখল মাদরাসার প্রধান মুফতী মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আলী কাসেমী, নাজিরহাট মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা হাবিবুল্লাহ নদভী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.ফরিদ উদ্দিন ফারুক, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা আবু তৈয়ব আব্দুল্লাহপুরী, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ নোমানী, মাওলানা আনোয়ার শাহ আযহারী, মাওলানা হাফেজ আলী আকবর,মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ,মাওলানা হাবিবুল হক বিন খালেদ,মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী,মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন,মাওলানা ইয়াসিন,মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ,মাওলানা সাইফুল্লাহ,নূর মুহাম্মদ,মাওলানা হাফেজ আব্দুল মাবুদ,মাওলানা ফোরকান আলী,মাওলানা সাইফুল ইসলাম,মুহাম্মদ আবু তাহের রাজিব,রাশেদুল ইসলাম প্রমূখ।