চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে মেয়ের জামাইয়ের হাতে থাকা লাঠির আঘাতে শাশুড়ির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই মেয়ের জামাই পালিয়ে যায়।
(০৯) মার্চ, রোববার সকালে আনোয়ারা উপজেলার ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন পূর্বপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রশিদা খাতুন (৪৫) পরৈকোড়া ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার স্ত্রী বলে জানা যায়। নিহতের মেয়ের স্বামী, হত্যাকারী মোঃ হেলাল উদ্দিন মানিক (২৮), একই এলাকার পূর্বপাড়া গ্রামের মোঃ ফরিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই হেলাল উদ্দিন মানিকের সাথে তার স্ত্রী নারগিছ আকতারের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। সে প্রায়ই স্ত্রী নারগিছ আকতাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। উভয়ের নিজ বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় শাশুড়ির সঙ্গে জামাই হেলাল উদ্দিন মানিকের কথাকাটাকাটি হতো।
ঘটনার দিন সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর স্ত্রী নারগিছ আকতার কর্মস্থল কেইপিজেড-এ কাজের উদ্দেশ্যে চলে যান। পরে হেলাল উদ্দিন মানিকের সঙ্গে শাশুড়ির ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে মেয়ের জামাই হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শাশুড়িকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে ঘাতক মেয়ের জামাই পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান বলেন, “নিজের মেয়ের জামাইয়ের লাঠির আঘাতে শাশুড়ির মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি মামলা প্রক্রিয়াধীন।”