পরিবারের অভিযোগ— ‘হত্যার উদ্দেশে এসেছিল তারা’

হাটহাজারীতে গভীর রাতে ডাকাতি-হামলা

পরিবারের অভিযোগ— ‘হত্যার উদ্দেশে এসেছিল তারা’

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নে ভয়াবহ ডাকাতি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মুখোশধারী ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রসহ একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী লুট করে নেয়। হামলায় বাড়ির মালিক গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ধলই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নাজিমুদ্দিন শরীফ (৪৫) ওই এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেব শরীফের ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত তিনটার দিকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা মেইন গেটের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘরের দরজার লক ভেঙে ভিতরে ঢোকে। এসময় নাজিমুদ্দিন বাধা দিলে তাকে হাতের তালু এবং বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এরপর অস্ত্রের মুখে নাজিমুদ্দিন ও তার স্ত্রীকে জিম্মি করে বাড়ির আলমারি ভেঙে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয়।

লুট হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে— নগদ ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার (মূল্য আনুমানিক ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা), ১টি ল্যাপটপ (মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা), ৩টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন (মোট মূল্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা), মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বলে জানিয়েছেন পরিবার।

পরে স্থানীয়রা নাজিমুদ্দিনকে উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের মির্জাপুল ডক্টর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে নাজিমুদ্দিন শরীফের মেয়ের জামাতা মো. পারভেজ উদ্দিন জানান, ‘এটি শুধু ডাকাতি নয়, হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন আমার শ্বশুর।’

ঘটনার খবর পেয়ে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছি। ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারব বলে আশা করছি।’

এ বিষয়ে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী পরিবার দ্রুত বিচার ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।